ফ্রিল্যাংন্সিং (Freelancing) শদ্বের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। এইটা শুধু মানুসের মুখেই শুনি আসলে এইটা দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করা যায়।
বাংলাদেশে লাখো লাখো মানুষ ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখে ঘরে লাখো লাখো টাকা ইনকাম করছে। চাইলে আপনিও কাজ শিখে অনলাইনে ইমকাম করতে পারেন।
যদি আমদের ওয়েব সাইটের লেখা আর্টিকেল ভালো করে পড়েন এবং আমাদের দেওয়া সকল দিক নির্দেশনা গুলো যদি আপনি ভালো করে ফলো করেন তাহলে আপনি ও পাড়বে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে আয় করতে।
কিভাবে ইনকাম করা যায় আমরা সাধারণত ৮০% মানুষ এই সর্ম্পকে কিছুই জানি না। আজকে আমাদের আর্টিকেলের মূল টপিক হচ্ছে কিভাবে আমরা ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবো সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আপনি যদি একজন ছাত্র হন তাহলে কিন্তু ফ্রিল্যাংন্সিং করে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হয়ে থাকে তাহলেও কিন্তু আপনি ফ্রিল্যাংন্সিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যেই কাজ করেন না কেন আপনি কাজের মাঝে থেকেও পার্টটাইম জবের মতো কিছু সময় দিয়ে আপনি ফ্রিল্যাংন্সিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পাবো।
একনজরে ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব পূর্ণ তথ্যাবলীঃ (বিস্তারিত)
- প্রথমে আমরা জানবো ফ্রিল্যাসিং কি? (বিস্তরিত)।
- ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বিস্তারিত আলোচনা।
- ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে কত টাকা আয় করা যায়ঃ (বিস্তারিত)।
- ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে কত টাকা লাগেঃ (বিস্তারিত)।
- ছাত্রী জীবনে/ ব্যবসার পাশপাশি কি? ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে পাড়বে।
- ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কোন কোন মার্কেট প্লেসে করতে হয়।
- ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখে বাংলাদেশে কিভাবে পেমেন্ট আনবো।
- ফ্রিল্যান্সিং এর উপকারিতা।

প্রথমে আমরা জানবো ফ্রিল্যাসিং কি? (বিস্তরিত)
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এমন একটি পেশা যেখানে একটি কম্পিউটার অথবা একটি লেপটব আর ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে দেশ বিদেশের বিভিন্ন ধরনের কাজ অনলাইনে করে অর্থ উপার্জন করাকেই ফ্রিল্যাংন্সি বলে।
সাধারণ ভাষায় ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) মানে হলো, অনলাইনে যে কোন কাজের বিষয়ে বিশেষ অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা যদি আপনার থাকে তাহলে তার সাথে জড়িত কাজকে অনলাইনের মাধ্যমে করে আপনি যে টাকা ইনকাম করবেন তাকেই ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) বলে।
এটি আপনার স্বধীন পেশা হিসেবে ধরে নিতে পারনে, এটি কোন চাকরি নয় এটি আপনার সাধীন পেশা আপনি চাইলেই কাজ করতে পারবেন না চাইলে কাজ করবেন না।
যখন আপনার কাজ করতে ইচ্ছা করবে তখন আবার চাইলেই কাজ করতে করতে পারবেন। এটির কোনো প্রকার নির্দিষ্ট সময় নেই।
এখানে কাজ করার জন্য কোন প্রকার ঝমেলা নেই আপনার নির্দিষ্ট কোনো কর্মচারী কিংবা কোন মালিক নেই। যখন যে বায়ারের কাজ আপনি নিবেন তখন সে-ই বায়ার আপনার একজন কাস্টমার শুধু মাত্র তাকে সন্তুষ্ঠ করতে পারলেই আপনি সফল।
সাধারন চাকরি মাসিক আপনাকে মিনিমাম ১০-১২ ঘন্টা সময় দেওয়ার পরে আপনি মাসে ১২-১৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর বিষয় হচ্ছে আপনি যদি একটি কাজ ভালো করে করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি মাসিক বেতন এর চাইতে অনেক বেশী টাকা পাবেন শুধু একটি কাজ করার জন্য।
আর এই কাজ করার জন্য আপনাকে কোন অফিসে যাইতে হবে না। আপনি ঘরে বসেই শুরু মাত্র ইন্টারনেট এর সংযোগ দিয়ে বাসাকে অফিস বানিয়া ইনকাম করতে পারবেন।
আর আপনি আপনার বাসার ঘরে বসেই আপনি বিভিন্ন দেশের বায়ারদের সাথে কাজ করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর আপনি যদি চান তাহলে কিন্তু দেশ কিংবা বিদেশে যে কোন ভালো প্রতিষ্ঠানে বাড়ীতে বসে থেকেও চাকরি করতে পারবেন।
যে গুলো সাধরণত সরকারি বেসরকারি অনেক চাকরির থেকে অধিক পরিমানে বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন। আপনার যদি যথেষ্ট পরিমাণে দক্ষতা থাকে তাহলেই সব কিছু সম্ভব।
একটি কথা আমরা সাবাই জানি আমাদের দেশে কোন প্রকার দক্ষতাকে মূল্য দেওয়া হয়না কিন্তু আমাদের দেশের বাইরে অর্থাৎ বিদেশে কিন্তু দক্ষতার ব্যপক হারে মূল্যায়ন করা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে সেসব দেশের বায়ারদের সাথে কাজ করবেন বাংলাদেশের তুলনায় দ্বিগুণ/তিনগুণ/চারগুন অর্থ উপার্জন করতে পারেন এতে কোন প্রকার সন্দেহ নাই।
আমি আশ করছি আপনারা ইতিমধ্যেই বুঝে গেছেন ফ্রিল্যান্সিং কি? এবং কিভাবে বাসায় ঘরে বসে ইনকাম করা যায়।
আরোও পড়ুনঃ
- ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়।
- ফেসবুকে থেকে ঘরে বসে প্রতি মাসে 30/40 হাজার টাকা আয় করুন।
- ইউটিউব থেকে ইনকাম করার ৯ টি সহজ উপায় ( বিস্তারিত দেখুন এবং অনলাইনে ইনকাম করুন)
- শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ইনকামের গুরুত্বপূর্ণ টিপস (বিস্তারিত দেখুন)
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বিস্তারিত আলোচনাঃ
প্রথমে আসি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে আমাদের কি কি লাগবে। আমি কি মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে পারবো।
আপনি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে যদি আগ্রহ থাকেন তাহলে আমি আপনাকে সাজেশন করবো অবশ্যয় একটি কম্পিউটার অথবা একটি লেপটব থাকলেই কিন্তু আপনি এই কাজ শিখতে পারবেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা যারা মোবাইল ব্যবহার কারী আমাদের কম্পিউটার অথবা লেপটব নাই তহলে কি আমরা ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে পারবো না।
অব্যশয় পারবেন কিন্তু মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করতে গেলে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে।
যে কাজ কম্পিউটার দিয়ে করতে হয় সেই কাজ মোবাইল দিয়ে আপনি করতে পারবেন কিন্তু আপনার জন্য একটু কঠিন হয়ে যাবে।
যদি আপানি প্রচুর পরিশ্রমী হয়ে থাকে তাহলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে পারবেন। কিন্তু কাজের বেলাই মোবাইল ফোন দিয়ে কাজ করাটা আপনার জন্য অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
আমি আপনাদেরকে সাজেশন করবো অবশ্যয় ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) যদি করেন তাহলে কম্পিউটার কিংবা লেবটব দিয়ে কাজ শিখবেন এবং কাজগুলো কম্পিউটার দিয়ে করবেন।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে আগ্রহী হয়ে থাকে তাহলে এই সর্ম্পকে অব্যশয় আপনার কিছু হলেও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
অভিজ্ঞতা ছাড়া আপনি কোন কাজটা শিখতে চাচ্ছেন সেটা যদি সিলেক্ট করতে না পারেন তাহলে কিন্তু আপনি কিছুিই শিখতে পারবেন না।
আর এই অভিজ্ঞতার জন্য আপনি গুগুল অথবা ইউটিউব থেকে সার্চ ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) সর্ম্পকে বিস্তারিত জেনে নিবেন।
কোন কাজ করতে ইচ্ছক আপনি সেই বিষয়েও জেনে নিবেন। আপনার জন্য কোন কাজটা পারফেক্ট সেই কাজটাই আপনি করবেন।
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)ঃ সেক্টর গুলো হলোঃ
- ওয়েব ডিজাইন।
- ডিজিটাল মার্কেটিং।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন।
- সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং।
- ডাটা এন্ট্রি।
- কন্টেন্ট রাইটিং।
- এনড্রয়েট অ্যপ ডেভেলপমেন্ট।
- ভিডিও এডিটিং।
- এস ই ও।
আমি আপনাদেরকে সাজেশন করবো আপনি যে কাজে অভিজ্ঞতা বেশী সেই কাজ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুর করবেন।
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) সেক্টরের মধ্যে কিন্তু সবার আগে আমরা দেখতে পাই এবং প্রধান্য দিতে হয় আমাদের ওয়েব ডিজাইন কিংবা ওয়েব ডেভলপমেন্ট।
কিন্তু কাজের দিকে আমরা বেশী প্রধান্য দেই ডিজিটাল মার্কেটিংকে আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শিখেন তাহলে কিন্তু ভালো হবে।
উপরোক্ত যে কোন একটি সেক্টরকে সিলেক্ট করে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি কোন সেক্টরের কাজ শিখবেন সেটা হলো মূল কথা।
প্রথমে আপনার লেপটব/কম্পিউটার লাগবে তারপর লাগবে ইন্টারনেট সংযোগ তার পর সিলেক্ট করতে হবে কোর্স আপি কোনটা করতে চান। তারপর আপানকে খুজতে হবে কোন কোম্পানি গুলো ভালো। কোন কোম্পানিতে কাজ শিখলে আপনি সঠিক উপায়ে কাজ করতে পারেন।
বাংলাদেশে অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে। সেই কোম্পানি থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে পাড়বেন।
কোম্পানি গুলোতে অফলাইনে কোর্স করানো হয় এবং অনলাইনেও কাজ করাতে হয়। আপনি যদি বেকার হয়ে থাকেন তাহলে আমি আপনাকে সাজেশন করবো সরাসরি কোম্পানিতে গিয়ে অফলাইনে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখবেন।
আমার আপনি যদি কোন কর্ম করেন তাহলে তো আপনার অফলাইনে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) কোর্স করা সম্ভব না ও হতে পারে তার জন্য আপনি অনলাইনে কোর্স করে শিখতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে কত টাকা আয় করা যায়ঃ (বিস্তারিত)
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়। আমাদের আশেপাশে অনেকেই আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করে যাচ্ছে।
অনেকের মুখে শুনি সে এই মাসে ৩ লক্ষ টাকা আয় করেছে। এইটা কি আদোও সম্ভব যে এক মাসে মাত্র ৩০ দিনে ৩ লক্ষ টাকা।
আমি বলবো এইটা সম্ভব। আপনার যদি ইচ্ছা শক্তি ভালো থাকে এবং আপনার কাজ যদি বায়ারেরা পছন্দ করে তাহরে আপনি এর থেকে আরো অনেক বেশী টাকা ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে আয় করার প্রথম উপায় হলো আপনাকে কঠোর পরিশ্রমি হতে হবে এবং অবশ্যয় আপনার ধর্য্য থাকতে হবে।
অন্যথায় আপনি যদি শুরুতেই ধর্য হারা হয়ে যান তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) থেকে টাকা আয় করতে পারবেন না।
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) কোর্স করার পূর্বে আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে আপনি কি কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন কি না।
যদি আপনি কঠোর প্ররিশ্রম করতে না পারেন তাহলে আমি আপনাকে বলবো আপনার ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) কোস করার দরকার নাই।
কঠোর পরিশ্র এবং ধর্য এই দুইটা জিনিষ যদি আপনার থাকে তাহলে আমি ১০০% সিউর আপনি একদিন সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।
ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন এতে কোন প্রকাশ সন্দেহ নাই এবং ঘরে বসে থেকেই পারবেন।
আমরা আশা করছি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে মাসে কত টাকা/কত লক্ষ টাকা আয় করা যায় এই বিষয়ে আপনারা বুঝে গেছেন।
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে কত টাকা লাগেঃ (বিস্তারিত)
আপনি যদি একটি পরিশ্রমি হয়ে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে কোন প্রকার টাকার প্রয়োজন হবে না।
আপনি গুগুল ও ইউটিউবে সার্চ করে বিস্তারিত পড়ে এবং ভিডিও দেখে দেখে কিন্তু আপনি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে পারেন।
কিন্তু এই পদ্ধতিতে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে চান তাহলে হইতো আপনার ১ বছর কিংবা তার চেয়ে আরো বেশী সময় লেগে যাবে।
একটা বহুল পরিচিত কথা মনে পড়ে গেল কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। তাই আমি আপনাদেরকে সাজেশন করবো। উক্ত কোর্সটি আপনারা কোন কোম্পানি থেকে প্রশিক্ষন গ্রহণ করুন।
কোন নাম করা কোম্পানি থেকে যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) কোর্স করনে তাহলে তারা আপনাকে সঠিক গাইড লাইন দিবে সেই গাইড লাইন গুলো যদি আপনি মানতে পাড়েন তাহলে আপনি একটি সফল হবেন।
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) কোর্সের টাকা মূলত কোর্সের উপর ভিত্তি করে আপনি কোন কোর্স শিখবেন সেই কোর্সর উপরে ভিত্তি করে আপনার কাছে কোম্পানি গুলো টাকা নিবে।
আমার জানা মতে ওয়েব ডিজাইন ডেভলপমেন্ট কোর্সটি করতে আপনাদের টাকা লাগতে ১৫-২০ হাজার টাকা ছয় মাস কোর্স হতে পাবে কিংবা তার চাইতেও বেশী হতে পারে।
এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে ৫-১০ হাজার টাকা লাগবে এই কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস লাগবে বা তার চেয়ে কিছু সময় কম বা বেশী হতে পারে।
আর বাকি গুলো কোর্সের উপর ভিত্তি করে আপনার নিকট হইতে টাকা নেওয়া হবে এবং কোর্সের মেয়াদ কাল কেমন হবে কোম্পানির নিকট আলাপা আলোচনা করে আপনি বুঝতে পারবেন।
ছাত্রী জীবনে/ ব্যবসার পাশপাশি কি? ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে পাড়বেঃ
আপনি যদি একজন ছাত্র বা একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পড়ালেখা বা ব্যবসার পাশাপাশি সময়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখতে পাড়বেন।
আপনার আমার বাড়ীর পাশে অনেকেই এই ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) পেশা বেছে নিয়েছে। তারা কেউ ছাত্র কিংবা কেউ ব্যবসায়ী।
তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) পেশাকে পছন্দ করে থাকেন তাহলে আপনার যদি আগ্রহ উক্ত পেশার বেশী হয় তাহলে আপনার কাজের ফাকে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) পেশাটি ছাত্র কিংবা ব্যবসায়ী এছাড়াও যে কোন বসয়ের মানুষ উক্ত পেশাকে বেছে নিয়ে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কোন কোন মার্কেট প্লেসে করতে হয়ঃ
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এমন একটি পেশা হয়েছে যা অনেক মানুষ অতি আগ্রহ করে এই কর্মটি মানুষ বেছে নিয়েছে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) কাজের চাহিদা শুধু বাংলাদেশেই না সারা বিশ্বে এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।
আমাদের মোট কথা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) কোন কোন মার্কেট প্লেসে করা যায়। সাধারন নির্ভযোগ্য অনেক মার্কেট প্লেস আছে যার মধ্যে আপনি কাজ করলে কোন প্রকার ভেজাল পাবেন না।
নির্ভযোগ্য মার্কেট প্লেস গুলো হলো যেমনঃ
- আপওয়ার্ক।
- ফাইভার।
- ফ্রিল্যান্সার ডট কম।
- গুরু ডট কম।
- আউট অফ মার্কেট প্লেস।
উপরোক্ত মার্কেপ্লেস গুলোতে আপনি কোন সন্দেহ ছাড়াই একটি প্রফেশনাল একাউন্ট তৈরী করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে অনলাইন থেকে ইনকাম করুন।
সর্বপরি আমি বলতে চাই ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) মার্কেট গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো মার্কেট প্লেস হলো আপওয়ার্ক ও ফাইভার।
আমি আপনাদেরকে সাজেশন করবো আপওয়ার্ক ও ফাইভার কাজ করার জন্য। কারণ এই মার্কেট প্লেস গুলোতে কোন প্রকার পেমেন্টের জন্য ঝামেলা হয় না।
আউট অফ মার্কেট প্লেসঃ আউট অফ মার্কেট প্লেস এই কথাটি আমরা অনেকেই জানিনা। মার্কেট প্লেসের বাইরেও আপনি বিভিন্ন সোসাল মিডিয়াতে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর বায়ার কালেক্ট করতে পারেন।
মার্কেট প্লেসের চাইতে আউট অফ মার্কেট প্লেসে বর্তমানে কাজের চাহিদা অনেক বেশী। অউট অফ মার্কেট প্লেসের কাজ করতে বায়ার পাওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেমনঃ
- ফেসবুক।
- ইনিস্ট্রগ্রাম।
- টুইটার।
- পিনটারেস্ট।
- লিঙ্কডিন। (ইত্যাদি)
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখে বাংলাদেশে কিভাবে পেমেন্ট আনবোঃ
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শিখে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। এখন কথা হচ্ছে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করেছেন।
ইনকাম করা টাকা গুলো মূলত ডলার হয় সেইগুলোকে কিভাবে বাংলাদেশে থেকে পেমেন্ট নিবেন। এই বিষয়ে সমস্য গুলো খুব সহজেই সমাধান হয়ে যাবে।
আপনি যদি ফাইবার বা আপওয়ার্ক দিয়ে ইনকাম করার পর ডলার গুরো বাংলাদেশের টাকায় কনভার্ট করতে চান তাহলে অবশ্যয় একটি পাইনিয়র একাউন্ট খুলো বিকাশ কিংবা ব্যাংক এর মাধ্যমে আপনার একাউন্টে বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করতে পাড়েন।
তাই টাকা ইনকামের পর খুব সহজেই আপনি পাইনিয়র একাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন। এটি রর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠান।
ফ্রিল্যান্সিং এর উপকারিতাঃ
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে বিদেশী টাকা বাংলাদেশে এনে আপনি অনেক সম্মানের অধিকারী হবেন।
প্রতি বছরে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বেস্ট ফ্রিল্যান্সারদের উপহার দেওয়া হয় এবং বর্তমান সরকার ফ্রিল্যান্সারদের অনেক অনেক সম্মানের জায়গায় স্থান করে দিয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে অল্প সময়ের মধ্যে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করে খুব সহজেই অধিক টাকার মালিক হতে পারেন।
শেষ কথাঃ
আমাদের ওয়েব সাইটের আর্টিকেল লেখাগুলো পড়ে আপনি হয়তো ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর সর্ম্পূণ বিষয় বিস্তারিত বুঝে গেছেন।
আমাদের লেখা আর্টিকেল পড়ে যদি আপনার ভালো তাহলে অবশ্যয় আমাদের ওয়েব সাইট www.jobsandedu.com এ কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবে।
আরো বিভিন্ন ধরনের অনলাইনে ইনকামের টিপস সহ চাকুরী ও শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় আপডেট তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইট www.jobsandedu.com নিয়মিত ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ।