সর্ব প্রথম আমি আপনাকে সাজেশন করবো আপনি যদি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এবং সঠিক প্রন্থা অবলম্বন করেন তাহলে কিন্তু আপনি সহজেই সাভলম্বি হতে পরবেন।
আপনার লক্ষ ঠিক থাকলে কিন্তু আপনি পারবনে ঘরে বসে ইনকাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।
মানুষ মায়ের পেটে থেকে কিছুই নিয়ে জন্মায় না কেননা মানুষ একজন সাদা মাটা হয়ে জন্ম গ্রহণ করে। পরর্তীতে কার মেধাকে কাজে লাগিয়ে সে একটা কিছু করে সাভলম্বী হয়।
আপনি যদি ভাবেন আপনার মাঝে কোন প্রতিভা নাই এইটা ভূল ধারনা আপনার। করণ আপনি যে ই কাজটা ভালো বুঝেন তাহলে সেই কাজ টা ভালো করলেই আপনি একদিন সাকসেছ।
প্রতিভা কার মধ্যে কি আছে আমরা কিন্তু সেটা কেউ জানিনা। আমি মনে করি সবার মাঝে কোন না কোন প্রতিভা আছে।
তো আপনি চেষ্টা করেন তাহলে আপনি অবশ্যয় একদিন সফল ব্যক্তি হিসেবে সমাজে এলাকায় ভালো মানুষের কাতারে দাড়াতে পাড়বেন এবং আপনার এলাকার তখন আপনার সম্মান অনেক বেড়ে যাবে।
সবার আগে আমাদের জানতে হবে এ্যাকটিভ ইনকাম ও পেসিভ ইনকাম কি?
অর্থনীতির ভাষায় এই পৃথিবীতে টাকা ইনকামের পথ হচ্ছে দুইটা অ্যাক্টিভ ইনকাম আরেকটা হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম।

এ্যাকটিভ ইনকাম কি?
এ্যাকটিভ ইনকাম এর মানে হচ্ছে যতক্ষণ আপনি কাজ করবেন, ততক্ষণ আপনি টাকা পাবেন কাজ করবেন না কোনো টাকা আসবে না এটাকেই এ্যাকটিভ ইনকাম বলে।
উদাহরণ সরূপঃ যেমন একজন চাকরিজীবী দিনের যে কোন একটা নির্দিষ্ট সময় সারা মাস কাজ করার পর একটা নির্দিষ্ট বেতন পায়।
আর সে যদি চাকরি না করে তাহলে সে টাকা পাবে না তেমনি ভাবে রাজমিস্ত্রি রিক্সাওয়ালা দোকানদার যদি দোকান না খুলে রিকশা নিয়ে বের হয় তাহলে সে টাকা পাবে না।
আর এটাকেই বলা হয় অ্যাক্টিভ ইনকাম যে আমরা বাস্তব জীবনে প্রায় ৯০% মানুষ করে থাকি এছাড়া আমরা মূলত সবাই অ্যাক্টিভ ইনকামের পেছনে ছুটে বেড়াই।
কিন্তু না অ্যাক্টিভ ইনকাম ছাড়াও আমাদের আরো অন্য উপায়ে ইনকাম করা যায়। যে গুলো আমরা চিন্তাও করি না। এটি হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম।
তাই আামি আপনাদেরকে সাজেশন করবো আপনি যদি এ্যাকটিভ ইনকামের পেছনে ছুটে না বেড়ায়ে যে কোন একটি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। তাহলে আপনি আপনার জীবনে খুব তাড়াতাড়ি সফল হতে পারবেন।
প্যাসিভ ইনকাম কি?
অন্যদিকে প্যাসিভ ইনকাম এর মানে হচ্ছে আপনি কাজ না করলে টাকা আসবে। তার মানে হচ্ছে এই যে আপনি ঘুমিয়েছেন তাতে আপনার টাকা ইনকাম হতে থাকবে।
বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি বলেছেন আমার পকেট থেকে যদি কোন টাকা মাটিতে পড়ে যায় তাহলে আমি সেটা চাইনা কারন এটাতে আমার যতটুকু সময় লাগবে ততটুকু সময়ের মধ্যে আমার আরো অনেক ডলার ইনকাম হয়ে যাবে।
এটাই হচ্ছে প্যাসিভ ইনকামের প্রসেস তাই এই পৃথিবীতে সব বড় বড় ধনী ব্যক্তিরা সবাই প্যাসিভ ইনকাম এর মাধ্যমে টাকা আয় করে থাকে।
তারা যদি ঘুমিয়ে থাকে তারপরও তাদের টাকা আয় হতে থাকে কারণ তারা একটা প্যাসিভ ইনকাম করে রেখেছে।
তাই আমরা যারা ধনী হতে চাই তাদের প্রত্যেকে মানুষের প্যাসিভ ইনকাম করে রাখতে হবে যতদিন না আপনি প্যাসিভ ইনকাম ক্রিয়েট করে রাখছেন ততদিন আপনি ধনী হতে পারবেন না।
তো আজকের এই আর্টিকেলে আমি কিছু প্যসিভ ইনকামের কথা বলব যে প্যাসিভ ইনকাম এর মধ্যে যেকোনো একটি প্যাসিভ ইনকাম যদি আপনি দাড় করাতে পারেন তবে লাইফে কোনদিন টাকা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
আপনার অভাব সম্পূর্ণরূপে দূর হয়ে যাবে এই প্যাসিভ ইনকাম গুলোর মাধ্যমে আপনি কাজ না করে ঘুমিয়ে থাকলেও টাকার কোন সমস্য থাকবে না।
ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিং লেখে প্যাসিভ ইনকাম করুনঃ
তাই চলুন চারটি প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক প্রথমটি হচ্ছে ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিং লেখে আপনি আপনার ব্লগিং ওয়েব সাইট থেকে কিন্তু আপনি খুব সহজেই প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।
গুগুল ব্লগার এমন একটি সাইট যার সাহায্যে আপনি ফ্রি একটি ওয়েব সাইট ক্রিয়েট করে আপনি যেই সর্ম্পকে খুব ভালো বুঝেন সেই সর্ম্পকে আর্টিকেল লিখবেন।
যখন আমাদের একটা নতুন বিষয় জানার প্রয়োজন পড়ে তখন আমরা মোবাইল ফোনটা হাতে নিয়ে গুগলে গিয়ে সার্চ করি গুগোল আমাদের রেজাল্ট সাজেস্ট করেন এর মধ্য থেকে আমরা একটা অথবা দুইটা তে ক্লিক করে বিষয়গুলো পরে সে সম্পর্কে জানি।
এগুলো আমার আমার আপনার মতো ব্লগাররা কনটেন্ট গুলো গুগলে সাবমিট করে তখন গুগোল এগুলো আমাদের দেখায় এর পাশাপাশি প্রত্যেক কন্টেনের মাঝখানে গুগুল তাদের এড দেখাই এই গুলো দেখানোর বিনিময়ে গুগোল কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে আমরা ইনকাম করতে পারি।
আপনি যখন আর্টিকেল লেখবেন তখণ সেই সর্ম্পকে ভালো করে বুঝে আর্টিকের লেখতে থাকবেন। আর মনে রাখবেন আর্টিকেল লেখার সময় আপানার টাইটেল/ ডিসক্রিপশন এবং হিডিং গুলো যেন সাজানো গুছানো হয়।
তাহলে আপি প্রতিদিন যদি একটি করে আর্টিকের লেখেন তাহলে কিন্তু একমাসে পুরো ৩০ টি আর্টিকেল লেখা হয়ে যাবে।
তাই এইবার মূল্য পয়েন্টে আসি একমাসে যদি আপনার আর্টিকেল ৩০ টা হয় তাহলে বছরে কিন্তু ৩৬০ টা আর্টিকেল কিংবা তার চাইতে অধিক আর্টিকেল লেখা আপনার হয়ে যাবে।
আপনার ব্লগিং ওয়েব সাইটে যদি ৩০০ কিবাং তার অধিক আর্টিকেল থাকে তাহলে কিন্তু আপিন গুগুল এর কাছে মনিটাইজেশন আবেদন করে আপনার ব্লগিং ওয়েব সাইট থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
এইটা মূলত ব্লগিং করে কিভাবে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন এই বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা করালাম। আশা করছিন আপনি খুব সহজেই ভুঝে গেছেন কিভাবে গুগুল ব্লগারে ইনকাম করতে হয়।
বাংলাদেশ অনেক ব্লগার আছে যারা মাসে ৩০০০ থেকে ৪০০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে যা বাংলাদেশী টাকায় ৩ লক্ষ অথবা ৪ লক্ষ টাকা হবে।
আরোও পড়ুনঃ
- ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়।
- ইউটিউব থেকে ইনকাম করার ৯ টি সহজ উপায় ( বিস্তারিত দেখুন এবং অনলাইনে ইনকাম করুন)
- ফেসবুকে থেকে ঘরে বসে প্রতি মাসে 30/40 হাজার টাকা আয় করুন।
- বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরে ফরেস্ট গার্ড ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২২ (অনলাইনে আবেদন করুন)
এখন কথা হচ্ছে ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিং বিষয়টা কি সেটা হচ্ছে আমাদের সবার কাছে মোবাইলটা কম্পিউটার আছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে দুইটি মাধ্যমে শিখতে পারবেন একটা পেইড অ্যাপ ফ্রিতে এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে হলে আপনাকে ইউটিউব মার্কেটিং বাংলা ভিডিও পেয়ে যাবেন সেখান থেকে ভালো ভিডিওগুলো দেখে দেখে আফিলিয়েট মারকেটিং শিখতে পারেন।
তার পর অ্যাফলিয়েট মার্কেটং শিখেও কিন্তু আপনি ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। অ্যাফলিয়েড মার্কেটিং করেও মানুষ ঘরে বসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে।
আপনি যদি ভালো একজন লেখন হক তাহলে আমি আপনাকে সাজেশন করবো আপনি একটি বুক রাইটিং করেন।
আপনি একবার কষ্ট করে অনেক জ্ঞান অর্জন করে যে কোন একটা বই লিখে যদি সেটা ফেমাস করতে পারেন তাহলে আর আপনার কিছু করার দরকার নাই।
বছরের-পর-বছর আপনার টাকা আসতেই থাকবে সেটা যেকোনো বই হতে পারে গল্পের বই হতে পারে উপন্যাসের বই হতে পারে আবার সাহিত্য বা কবিতার বই হতে পারে।
এছাড়া উপদেশমূলক শিক্ষামূলক বই হতে পারে যদি কোন একটা বই লিখেন আর বইটি বিক্রি হয় তাহলে বইয়ের বিক্রত টাকা কিন্তু আপনি ঘরে বসে পাবেন।
পৃথিবীর অনেক বড় বড় গুণি মানুষ আছে যারা এভাবে টাকা আয় করছে।
তাছাড়া আপনি যদি একজন ভালো প্রতিভাবন হয়ে থাকেন ইউটিউব একটি চ্যানেল খুলে আপানি যেই বিষয়ে পরদর্শী সেই বিষয়ে ভালো করে ভিডিও তৈরী করে ইউটিউবে পাবলিশ করেন।
আস্তে আস্তে কিন্তু আপনার সেই ইউটিউব চ্যানেলে অনেক ভিজিটর আসবে সেখান থেকে কিন্তু আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
প্যাসিভ ইনকামের আরো অনেক প্রন্থা আছে আছে যা আপনি অনলাইনে ঘাটাঘাটি করলে হইতে আরো ভালো কিছু জানতে পারবেন।
বাংলাদেশে এখনো হাজার হাজার মানুষ আছে যারা ঘরে বসে থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে।
শেষ কথাঃ
আমাদের ওয়েব সাইট www.jobsandedu.com এর আর্টিকেল লেখা গুলো যদি আপনি ভালো করে পড়ে বুঝে থাকেন তাহলে অবশ্যয় বুঝে গেছেন কিভাবে প্যাসিভ ইনকামের সাহায্যে আপনি খুব তাড়াতাড়ি খুব কম সময়ে অনেক টাকার মালিক হতে পারবেন।
আমাদের ওয়েব সাইটের www.jobsandedu.com আর্টিকেল লেখা গুলো পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে আপনার মতামত জানাবেন।
আরো বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন টিপস সহ চাকরিরর নতুন নিযোগ বিজ্ঞপ্তি সহ শিক্ষামূলক যাবতীয় তথ্য আপডেট পেতে আমাদের ওয়েব সাইট www.jobsandedu.com নিয়মিত ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ।