টিন সার্টিফিকেট অনলাইনে আবেদন করুন| (আবেদনের প্রক্রিয়া বিস্তারিত আলোচনা)

আপনি কি অনলাইনে টিন সার্টিফিকেটের আবেদন করতে চান। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন এবং আপনি খুব সহজেই ই-টিন সার্টিফিকেট অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আমাদের ওয়েব সাইটের আর্টিকেল গুলো আপনি ভালো ভাবে যদি পড়েন এবং আমাদের দেওয়া সকল দিক নির্দেশনা গুলো আপনি বুঝে অনলাইনে আবেদন করনে।

তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই ই-টিন সার্টিফিকেট অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তাও আবার মোবাইল বা কম্পিউটারের সাহায্যে মাত্র ৩ মিনিটেই আপনি টিন সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে যাবেন।

আপনি যদি ই-টিন সার্টিফিকেট অনলাইনে আবেদন করতে চান তাহলে শুধুমাত্র মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর দিয়ে অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করুন খুব সহজেই।

কিভাবে ই-টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করবেন এবং ই-টিন আবেদন করার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে সে বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো।

ই-টিন সার্টিফিকেট আপনাদের কেন দরকার হয় এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা এছাড়া অনলাইন থেকে কিভাবে ই- টিন সার্টিফিকেট বের করবেন সেই বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো।

একনজরে ই-টিন সার্টিফিকেট এর গুরুত্বপূর্ণতথ্যবলিঃ 

  • ই-টিন সার্টিফিকেট কেন আমাদের লাগে এবং ই-টিন সার্টিফিকেট কি?
  • আপনার ই-টিন সার্টিফিকেট থাকলে কত টাকা আয় হলে আয়কর দিতে হবে।
  • আমাদের ই-টিন সার্টিফিকেট কোন কাজের জন্য এবং কেন দরকার হয়।
  • ই-টিন সার্টিফিকেট করলে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন।
  • ই-টিন সার্টিফিকেট করলে আপানর কি কি অসুবিধা হতে পারে।
  • আপনি মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে কিভাবে ই-টিন সার্টিফিকেট বের করতে পারবেন।
  • প্রথমেঃ আপনাকে মোবাইল নম্বার বা এনআইডি নং দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
  • দিত্বীয়তে আপনার মোবাইল ফোনে যে ভেরিফিকেশন কোড যাবে কোড নয় কোটভেরিভিকেশন সাবমিট করুন।
  • তিত্বীয়তে ই-টিন সার্টিফিকেট আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে টিন সার্টিফিকেট তৈরী করার জন্য।
  • চতুর্থতে কিভাবে ই- টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড সেই বিষয়ে আলোচনা করবো।
টিন সার্টিফিকেট অনলাইনে আবেদন করুন ২০২৩। tin Certificate Application 2023
টিন সার্টিফিকেট অনলাইনে আবেদন করুন ২০২৩। tin Certificate Application 2023

ই-টিন সার্টিফিকেট কেন আমাদের লাগে এবং ই-টিন সার্টিফিকেট কি?

যে কোনো দেশের অর্থাৎ বিশ্বের সকল দেশের সরকারের আয়ের প্রধান উৎস কর। তাই যদি আপনি কর এর আওতায় পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে কর দিতে হবে সরকারকে।

তাই সরকার ই টিন সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে একটি ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর প্রদান করে, যা টিআইএন নামেও পরিচিত যা সরকারকে ট্যাক্স পেমেন্ট করার জন্য একজন ব্যক্তি বা একটি কোম্পানিকে জারি করা একটি শনাক্তকরণ নম্বর তাকেই আমরা e-tin সার্টিফিকেট বলে থাকি।

বাংলাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইনকাম ট্যাক্স আবেদনকারীকে টিআইএন সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকে।

তাই টিন সার্টিফিকেট এর জন্য এনবিআর-এ আবেদন করে কেউ বাংলাদেশে ম্যানুয়ালি বা ইলেকট্রনিকভাবে টিআইএন সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন।

আপনার ১০  ডিজিটের টিন নম্বরটি কর প্রদানকারী হিসেবে আপনার একটি পরিচিতি নম্বর যার সাহায্যে আপনাকে শনাক্ত করা বা নাকি চেনা যাবে।

এছাড়া বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্টান এই TIN Number  দিয়ে টিন সার্টিফিকেট যাচাই করতে পারে ও আরো অন্যান্য কাজে এই e-tin সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হয়।

আপনার ই-টিন ন (e-tin) নাম্বারের মাধ্যমে Taxpayer- করদাতাকে একমাত্র চেনার উপায়। আপনার ই-টিন সার্টিফিকেটের প্রথম তিন সংখ্যা দ্বারা করদাতার কর অঞ্চল সিলেক্ট করা হয়।

এছাড়া আপনারটি সার্টিফিকেটের মাঝখানের তিনটি সংখ্যা দ্বারা সেই করদাতার পদমর্যাদা অর্থাৎ আপনি কোন পর্যায়ের মানুষ সেটা বিবেচনা করা হয়।

তারপর আপনার টিন সার্টিফিকেট এর বাকি চারটি সংখ্যা দ্বারা আপনি যে করদাতা তার পরিচিতি চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

টিন সার্টিফিকেট অনলাইন আবেদন করলেই যে আপনাকে  কর দিতে হবে এমন কোন কথা নয়। আপনারাই যদি কর সীমার এর মধ্যে পড়ে তাহলে অবশ্যই আপনাকে কর দিতে হবে।

অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে তাই যদি আপনি টিন সার্টিফিকেট এর আবেদন করার পর করে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রতিবছরের আপনার কর পরিশোধ করুন।

বর্তমানে আধুনিক যুগ/ডিজিটাল যুগ টিন সার্টিফিকেট করতে আপনাকে আয়কর অফিসে যেতে হবে না। আপনি নিজেই ঘরে বসে টিন সার্টিফিকেট এর অনলাইনে আবেদন করে সার্টিফিকেট সংরক্ষণ করতে পারেন।

শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড/জাতীয় পরিচয় পত্র মোবাইল নাম্বার দিয়ে আপনি টিন সার্টিফিকেট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

তাও আবার আপনার হাতে থাকা স্মার্ট মোবাইল ফোন অথবা আপনার বাসায় থাকা ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ কম্পিউটারের সাহায্যে আপনি ঘরে বসে নিজে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।

আরোও পড়ুনঃ 

আপনার ই-টিন সার্টিফিকেট থাকলে কত টাকা আয় হলে আয়কর দিতে হবে। 

E-tin সার্টিফিকেট থাকলে আপনাকে যে কোড দিতে হবে এ ধরনের কোনো কথা উল্লেখ নাই। e-tin সার্টিফিকেট থাকলে আপনাকে শুধুমাত্র আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

তাই এই বিষয় নিয়ে আর কোন প্রকার চিন্তা নাই কেননা আপনার আয় এর উপর ডিপেন্ড করে আপনাকে কর দিতে হবে।

আপনি যদি টিন সার্টিফিকেট এর অনলাইনে আবেদন করে থাকেন এবং আপনার যদি বাৎসরিক তিন লক্ষ টাকার চেয়ে বেশি আয় হয়। তাহলে আপনাকে অবশ্যই কর দিতে হবে।

অন্যথায় আপনার আর যদি বাৎসরিক তিন লক্ষ টাকার চাইতেও কম হয় তাহলে আপনাকে কোন প্রকার আয়কর দিতে হবে না।

এছাড়াও ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিকের বাৎসরিক আয় সাড়ে তিন লাখ হলে কিংবা তার চাইতে বেশী হলে তাকে অবশ্যই আয়কর দিতে হবে।

এছাড়াও শারীরিক প্রতিবন্ধী ও অন্যান্য বাৎসরিক সাড়ে চার লাখ টাকার ওপরে আয় হলে আয়কর দেওয়া বাধ্যতামূলক। অন্যথায় আপনাকে কোন প্রকার আয়কর দিতে হবে না।

যদি আপনার আয় এর কম বা কর সীমার নিচে হয় যদি আপনার ই-টিন সার্টিফিকেট থাকে, তাহলে আয়কর দিতে হবেনা।

তবে যদি আপনার টিআইএন (TIN) সার্টিফিকেট থাকে, তাহলে আপনাকে জিরো রিটার্ণ বা শূন্য বিবরণী জমা দিতে হবে প্রতিবছরে দাখিল করতে হবে। অন্যথায় আপনি বড় ধরনের বিপদে পরতে পারেন।

আমাদের ই-টিন সার্টিফিকেট কোন কাজের জন্য এবং কেন দরকার হয়। 

  • আপনি একজন ব্যবসায়ী বা চাকরীজীবি হয়ে থাকেন তাহলে যে আপনার ই-টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন শুধু তাই নই।
  • আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের বাধ্যতামূলকভাবে (TIN Certificate) টিন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হতে পারে।
  • যেমন ব্যবসা শুরু করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে ই টিন সার্টিফিকেট অনলাইনে আবেদন করতে হবে অন্যথায় আপনি ব্যবসার জন্য গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত পাবেন না।
  • আপনি যদি গাড়ির মালিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে টিন সার্টিফিকেট এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন কতৃণ সার্টিফিকেট রাখতে হবে।
  • কেননা আপনি যদি গাড়ি মালিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি করে আওতাধীন আছেন এই জন্য আপনার টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
  • আপনি যদি সিটি করপোরেশনের অঞ্চলে থাকা কোনো জমি, ফ্ল্যাট বা ভবন রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে টিন সার্টিফিকেট করতে হবে।
  • আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে টিন সার্টিফিকেট করতে হবে অন্যথায় আপনি ক্রেডিট কার্ড কোনদিনও পাবেন না।
  • আপনি যদি আপনার জীবন চলার ক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্র কিনতে তাহলে অবশ্যই আপনার সঞ্চয়পত্রের জন্য টিন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে এজন্যই আপনাকে টিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
  • আপনি যদি কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনতে এবং আপনি বড় ধরনের ব্যবসা করেন তাহলে অবশ্যই আপনার টিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে অন্যথায় আপনি কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারবেন না।
  • আপনার যদি নিজের নামে কোম্পানি নিবন্ধন করতে করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার টিন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে।
  • আপনি যদি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যবসা করতে চান তাহলে কোন আমদানিকৃত পণ্য যদি বাংলাদেশে আনতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার টিন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে।
  • মুক্ত পেশাজীবী যেমন হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকলে অবশ্যই আপনার টিন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে তাই আপনি টিন সার্টিফিকেট অনলাইনে আবেদন করে সার্টিফিকেট সংরক্ষণ করবেন।
  • আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলীদের পেশার চর্চা করতে গেলে অবশ্যই আপনার টিন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে।
  • নির্বাচনে প্রার্থী হতে হতে হলে আপনাকে টিন সার্টিফিকেট এর একটি সার্টিফিকেট থাকতে হবে অন্যথায় আপনি নির্বাচিত প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন না।
  • ব্যবসায়িক সমিতি বা কোনো নিবন্ধিত সংগঠনের সদস্য হতে আপনার টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন এই জন্যই আপনি টিন সার্টিফিকেট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন এবং টিন সার্টিফিকেট সংরক্ষণ করবেন।
  • সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার দরপত্রে অংশ নিতে হলে অবশ্যই আপনার টিন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে।
  • রাইড শেয়ারিং কোম্পানিতে গাড়ি দিতে গেলে অবশ্যই আপনাকে আপনার টিন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে অন্যথায় আপনি রাইডিং শেয়ারিং কোম্পানিতে গাড়ি দিতে পারবেন না।

উপরে উল্লেখিত সকল ক্ষেত্রেই  আপনাকে বাধ্যতামূলক টিন সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করে টিন সার্টিফিকেট সংরক্ষণ করতে হবে।

এরমধ্যে আপনার আয় কর সীমার  না আসলেও, আপনার  টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। এজন্য আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র মোবাইল নাম্বার দিয়ে অনলাইন থেকে ই-টিন সার্টিফিকেট বের করতে হবে।

ই-টিন সার্টিফিকেট করলে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন। 

ই টিন সার্টিফিকেট (TIN Certificate) টিন সার্টিফিকেটের প্রথম সুবিধা হলো, আপনি যে দেশের নাগরিক হোন না কেন একজন গর্বিত করদাতা হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে যাবেন।

আপনারা আয়ের এক অংশের একটি অংশ দিয়ে দেশ চলবে এবং এটি অত্যন্ত একটি গর্বের বিষয় হয়ে পড়ে।

এছাড়াও টিন সার্টিফিকেট এর আরো অন্যান্য ব্যক্তিগত সুবিধা রয়েছে সুবিধাগুলো হলোঃ 

আপনার যদি ই-টিন সার্টিফিকেট থাকে তাহলে আপনার ব্যাংকে জমাকৃত টাকা হইতে ১০% কর্তন করা হবে। আপনার যদি e-tin সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে ১৫% কর্তন করা হইব।

এছাড়াও বিভিন্ন কারণবশত ব্যাংক ঋণ বা ক্রেডিট কার্ড নিতে টিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে অন্যথায় আপনি ব্যাংকিং ঋণ কিংবা ক্রেডিট কার্ড পাবেন না।

আপনার যদি ইটের সার্টিফিকেট থাকে তাহলে পেশাজীবি বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দেয়। এসব সুবিধা নিতেও টিআইএন প্রয়োজন হয়।

ই-টিন সার্টিফিকেট করলে আপানর কি কি অসুবিধা হতে পারে।

আপনার টিন সার্টিফিকেট যদি থাকে যদি আপনার করেন আওতাধীন না পড়েন তারপরও প্রতিবছর আপনাকে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

অন্যথায় আপনার ইনকাম করা টাকা গুলো কালো টাকা হিসেবে বিবেচিত করা হইবে পরবর্তীতে আপনি বড় ধরনের হয়রানি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

যদি আপনার টিন সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও যদি পর পর ৩ বছর আপনার আয় করের মধ্যে না পড়ে আপনার বাৎসরিক আয় করসীমার মধ্যে না আসে, তাহলে আপনি ৪র্থ বার থেকে রিটার্ণ না দিলে কোন প্রকার সমস্যা নাই।

অন্যথায় আপনি আপনার আয়কর নিবন্ধন ই টিন সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য অবেদন করতে পারবেন।

কিভাবে আপনি মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে কিভাবে ই-টিন সার্টিফিকেট বের করতে পারবেন।

E-tin সার্টিফিকেট অনলাইনে আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাদের মোবাইল কিংবা কম্পিউটার থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি ব্রাউজার ওপেন করে নিতে হবে।

ব্রাউজার ওপেন করার পর অবশ্যই আপনাকে https://secure.incometax.gov.bd/TINHome এই লিঙ্কে প্রবেশ করলে আপনার সামনে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে।

নিচের ছবিটি দেখুনঃ 

তারপর আপনাকে যে কাজটা করতে হবে প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য অবশ্যই রেজিস্টার অপশনে ক্লিক করবেন।

রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি নতুন পেজ ওপেন হবে উক্ত পেইজ এ আপনি একটি ইউজার আইডি দিয়ে দিবেন এবং আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।

মনে রাখবেন পাসওয়ার্ডটি দুইবার ব্যবহার করতে হবে উপরে যে পাসওয়ার্ডটি ব্যবহার করেছেন নিচেও ঠিক একই রকমের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।

তারপর আপনাকে একটি প্রশ্ন দেয়া হবে উত্তর প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পর আপনি আপনার ইমেইল আইডি অথবা আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে নেক্সট বাটনে ক্লিক করবেন।

নিচের ছবিটি দেখুনঃ 

নেক্সট বাটনে ক্লিক করার পর আপনি যে মোবাইল নাম্বারটা ব্যবহার করেছেন উক্ত মোবাইল নাম্বার একটি ছয় সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড যাবে।

তারপর আপনার মোবাইল হইতে উক্ত নিয়ে ভেরিফিকেশন করে আপনি সাবমিট দিবেন সাবমিট করলে কিন্তু আপনার রেজিস্ট্রেশন সাকসেসফুল ভাবে সফল হয়ে যাবে।

পরবর্তীতে আবার নতুন করে আপনাকে লগইন অপশন এ ক্লিক করতে হবে লগইন অপশন এ ক্লিক করার পর আপনি যে আইডি এবং পাসওয়ার্ড টি ব্যবহার করেছেন।

উক্ত আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনাকে টিন সার্টিফিকেট অ্যাপ্লিকেশন এর জন্য আপনাকে লগইন করতে হবে।

নিচের ছবিটি দেখুনঃ 

লগইন অপশন এ ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি নতুন পেজ ওপেন হবে উক্ত পেজের মাধ্যমে আপনাকে টিন সার্টিফিকেট এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে।

নতুন পেজ এ লগিন হওয়ার পর আপনার সামনে নতুন অনেকগুলো ইন্টারফেস আসবে সবথেকে আপনাকে দেখতে হবে টিন অ্যাপ্লিকেশন লেখা কোথায় আছে।

নিচের ছবিটি দেখুনঃ 

ই- টিন এপ্লিকেশনের ক্লিক করার পর আপনার সামনে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে ওইখান থেকে আপনার পেশা সিলেট করবেন এবং আপনি কোন ধরনের আবেদন করতে চান সেই বিষয়ে সিলেট করবেন।

তারপর আপনার স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা লাইন অনলাইন এগুলো সিলেট করে দিবেন সিলেট করে দেয়ার পর নেক্সট বাটনে ক্লিক করবেন।

নেক্সট বাটনে ক্লিক করার পর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী আপনার নাম ঠিকানা পিতার নাম মাতার নাম এবং আপনার স্ত্রীর নাম সঠিকভাবে পূরণ করবেন।

তারপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বারটি দিবেন। তারপর আপনার মোবাইল নাম্বার ঠিকানা এখানেও সিলেট করে দিবেন।

মনে রাখবেন আপনার দেয়া সকল তথ্য অবশ্যই আপনি ইংরেজিতে বড় অক্ষরে পূরণ করবেন অন্যথায় সার্টিফিকেটে নামের সমস্যা হতে পারে।

তারপর সকল তথ্য সঠিক ভাবে দেয়ার পর আপনি সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন প্রিভিউ অপশনে ক্লিক করবেন।

প্রিভিউ অপশনে ক্লিক করার পর আপনি নিজ দায়িত্বে আপনার সকল তথ্য গুলো দেখে নেবেন যেন কোনো প্রকার ভুল না হয়।

আরও মজার কথা হচ্ছে তারপর আপনার এনআইডি কার্ড এ যে ছবিটি দেওয়া আছে উক্ত ছবিটি কিন্তু টিন সার্টিফিকেট অ্যাপ্লিকেশন এসে পড়বে।

ছবিটি দেখে আপনি শুরু হতে পারবেন আসলে আপনার আবেদনপত্র আপনার নামে হচ্ছে কিনা এবং আপনার নাম ঠিকানা যদি সব কিছু ঠিক হয় তাহলে আপনি সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন।

সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর আপনার সার্টিফিকেটে অপশনে ক্লিক করলে আপনার টিন সার্টিফিকেট এর আবেদন কিন্তু আপনি ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন পরবর্তীতে এটি রঙিন করে আপনি যে কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এবং পিডিএফ কমিটি অবশ্যই সংরক্ষণ করে রাখবেন।

অন্যথায় পরবর্তীতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি বারবার আপনার টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে টিন সার্টিফিকেট https://secure.incometax.gov.bd/TINHome এই লিঙ্কে প্রবেশ করার পর লগইন অপশন এ ক্লিক করে আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে দিলেই পরবর্তীতে আপনি টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন।

নিচের ছবিটি দেখুনঃ 

এভাবে ইচ্ছা মত যত খুশী ততবার আপনি টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন কোন সমস্যা নেই। আশা করি বিষয়টা বুঝতে পারছেন।

শেষ কথাঃ

আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল লেখা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে কিভাবে e-tin সার্টিফিকেট এর আবেদন করবেন এবং এর কি কি সুবিধা এবং কি কি অসুবিধা রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝে গেছেন।

এছাড়াও কিভাবে মোবাইল কিংবা কম্পিউটার দিয়ে টিন সার্টিফিকেট অনলাইন আবেদন করতে হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত বুঝে গেছেন।

আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল লেখাগুলো পড়ে যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন।

প্রতিদিন নিত্য নতুন চাকরির আপডেট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সহ শিক্ষামূলক যাবতীয় নোটিস আপডেট পেতে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ও বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ইনকামের টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট www.jobsandedu.com নিয়মিত ভিজিট করুন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment