২০২৩-২০২৪ সালের ভিজিডি কার্ডের অনলাইনে আবেদন করুন। (বিস্তারিত দেখুন)

আপনারা সবাই অবগত আছেন ২০২৩-২০২৪ সালের অন্তর্গত মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতাধীন ভিজিডি কার্ড অর্থাৎ দুই বছর মেয়াদী চাউলের কার্ড।

অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে। আপনারা যারা আগ্রহী প্রার্থী আছেন উক্ত ভিজিডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন।

আমাদের ওয়েবসাইট www.jobsandedu.com এর আর্টিকেল লেখার সম্পুর্ণ ভালোভাবে পড়েন তাহলে কিভাবে ভিজিটিং কার্ডের অনলাইন আবেদন করবেন।

এছাড়া আবেদন করার কি কি যোগ্যতা লাগবে সে সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

এছাড়াও অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে অনেক সময় সার্ভারের সমস্যা হয় এইজন্য আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো বিকল্প পদ্ধতিতে কিভাবে আবেদন করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত।

২০২৩-২০২৪ সালের ভিজিডি কার্ডের অনলাইনে আবেদন করুন। (বিস্তারিত দেখুন)
২০২৩-২০২৪ সালের ভিজিডি কার্ডের অনলাইনে আবেদন করুন। (বিস্তারিত দেখুন)

ভিজিডি কার্ডের অনলাইন আবেদন করার যোগ্যতা বিস্তারিত আলোচনাঃ 

ডিজিটাল কার্ডের অনলাইনে আবেদনকারী প্রার্থীগণ শুধুমাত্র বাংলাদেশী মহিলা নাগরিকদের নিকট অনলাইনে আবেদন করার আহ্বান করা হয়েছে।

অনলাইনে আবেদন করার জন্য মহিলা প্রার্থীদের সর্বনিম্ন 20 বছর হতে হবে এবং সর্বোচ্চ 50 বছরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

অনলাইনে আবেদনকারী প্রার্থীগণের অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অর্থাৎ এনআইডি কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক অন্যথায় আপনি অনলাইনে ভিজিটিং কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

অনলাইনে আবেদন করতে অবশ্যই যারা বিধবা এবং তালাকপ্রাপ্ত ও স্বামী পরিত্যক্তা নারী যদি থাকে তাহলে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে ভিজিটিং কার্ডের জন্য।

যাদের নিয়মিত কোন আয়ের উৎস নেই। যারা দিনমজুরের কাজ করে এছাড়াও পারিবারিক অসচ্ছলতা এবং অভাব-অনটনে দিন কাটে তাদের জন্য এই ভিজিডি কার্ড।

বিশেষ করে পরিবারে কর্মক্ষম অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত ও স্বামী পরিত্যক্তা নারী আছে এবং কোন উপার্জনক্ষম সদস্য অথবা অন্য কোন স্থায়ী/নিয়মিত আয়ের উৎস নেই।

এছাড়াও যারা সরকারের চলমান অন্য কোন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি/প্রকল্পের উপকারভোগী নন অর্থাৎ অন্যান্য উপকারভোগী পান নাই আপনারা কোন কার্ড পান নাই।

এছাড়াও ভিজিডি কার্ডের আওতাধীন ২০১৯-২০২০ এবং ২০২১-২০২২ চক্রে ভিজিডি কার্ডধারী ছিলেন না।
তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হইবে।

আপনি যদি প্রকৃত অর্থে ভূমিহীন হয়ে থাকেন আপনার যদি কোন প্রকার বসতবাড়ি না থাকে নিজ মালিকানায় বসতভিটা তাহলে আপনি ভিজিডি কার্ড পাওয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তি আপনি অনলাইনে আবেদন করলে আপনাকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দেয়া হইবে।

এছাড়াও যদি আপনার কোন আবাদী জমি না থাকে তাহলে আপনি ভিজিডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এবং আপনাকে অগ্রাধিকার দেয়া হইবে।

প্রকৃত অর্থে ভূমিহীন অর্থাৎ খানা বা পরিবারের কোন জমি নেই অথবা নিজ মালিকানার বসত ভিটা ও চাষযোগ্য মোট জমির পরিমাণ ০.১৫ একর (১৫ শতাংশ) অথবা কম হলে আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন ভিজিডি কার্ডের জন্য এবং আপনাকে অগ্রাধিকার দেয়া হইবে।

যেসকল মহিলারা ভূমিহীন যে সব পরিবারের মহিলা অসচ্ছল ও অসহায় এবং যাদের অন্য কোন স্থায়ী/নিয়মিত আয়ের উৎস নেই শুধুমাত্র তারাই ভিজিডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করলে অগ্রধিকার প্রাপ্ত হইবে।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ডিজিটাল কার্ডের জন্য বিশেষভাবে যে পরিবার দৈনিক দিনমজুর হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে, তবে কৃষিক্ষেত্রে দিনমজুর হিসেবে কাজ করে সে পরিবার অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ভিজিডি কার্ডের জন্য যে সব দরিদ্র পরিবারে কিশোরী আছে সে সকল পরিবারের “মা” অগ্রাধিকার পাবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকেই স্পষ্ট করে বলা হয়েছে  কিশোরীরা নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবে, বাল্য বিবাহ করবে না।

এছাড়াও কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত থাকবে না মর্মে অংগীকারবদ্ধ হতে হবে  তাহলে তাদের অনুকূলে ভিজিডি কার্ডের জন্য অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে সকল পরিবারে ১৫-১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়ে রয়েছে সেই পরিবারের আবেদনকারী অগ্রাধিকার পাবে এবং অবশ্যই তারা ভিজিডি কার্ডের জন্য প্রাপ্য।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ভিজিডি কার্ডের জন্য আরো অগ্রঅধিকার করেছেন যে পরিবারের ঘরের দেয়াল মাটির/পাটকাঠি বা বাঁশের তৈরী, সে পরিবার অগ্রাধিকার পাবে।

এছাড়া মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে আরো স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে সব দরিদ্র পরিবারে অটিজম/প্রতিবন্ধী সদস্য আছে, সে সব পরিবার ভিডব্লিউবি উপকারভোগী নির্বাচনে অগ্রাধিকার পাবে এবং তারা অনলাইনে আবেদন করা মাত্রই তাদের আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত করা হবে।

আরোও পড়ুনঃ

ভিজিডি কার্ডের অনলাইন আবেদন করার নিয়মঃ

২০২৩ ও ২০২৪ চক্রে ভিজিডি কার্ডের অনলাইনে আবেদন আমি আপনাদেরকে দুই ধরনের নিয়ম শিখিয়ে দিবো।

কেননা ভিজিডি কার্ডের জন্য আপনি দুইট উপায় অবলম্বন করে অনলাইনে আবেদন করতে পারেবন। এবং সঠিক পদ্ধতি গুলো আমি আপনাদেরকে শিখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

প্রথমত আপনি ভিজিডি কার্ডের অনলাইনে আবেদন করার জন্য http://dwavgd.gov.bd/login ওয়েবসাইট এ ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি নতুন পেজ ওপেন হবে।

ওপেন হওয়া নতুন পেজে আপনাকে প্রথমে সিলেক্ট করতে হবে আবেদনের ধরন। আবেদনের ধরনের অবশ্যই নিজ সিলেট করবেন।

আবেদনের ধরন সিলেক্ট করার পর আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্মতারিখ জন্ম মাস ও বছর দিতে হবে।

তারপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার যদি ১০ ডিজিটের হয় তাহলে ১০ ডিজিটের নাম্বার বসিয়ে দিবেন দিয়ে সার্ট করুন অপশনে ক্লিক করলে আপনার ছবি সহ সকল তথ্য এসে যাবে।

অন্যথায় আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার যদি ১৩ ডিজিটের হয় তাহলে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বারের পূর্বে অবশ্যই আপনার জন্ম সাল তুলে দিবেন তার পর সার্চ অপশনে ক্লিক করলে আপনার সকল এসে যাবে।

মনে রাখবেন আপনার আবেদন ফরমের লাল তারকা চিহ্নিত ঘরগুলো অবশ্যই পূরণ করুন। অন্যান্য ঘরগুলো পূরণ ঐচ্ছিক আপনি চাইলে পূরণ করতে পারেন নাও পারেন করতে পারেন।

আবেদনপত্র পূরণ করার পর আপনার পিতার নাম মাতার নাম সকল তথ্য এসে যাবে তার পরবর্তীতে আপনি শুধুমাত্র আপনার স্বামীর নামটা নির্দিষ্ট স্থানে বাংলাতে লিখে দিবেন।

তারপর আপনার বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা এবং আপনার ইউনিয়ন উপজেলা এবং ওয়ার্ড নাম্বার সহ সিলেক্ট করে আপনার গ্রামের নাম উল্লেখ করে লিখতে হবে।

তারপর আপনি যদি কোন উপকার হয়ে থাকে না এখানে সিলেক্ট করবেন আপনার আবাদি জমির পরিমাণ অথবা আপনার বসত বাড়ির জমির পরিমাণ সিলেট করতে হবে।

তারপর প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করার পর আপনি অনলাইনে আবেদনপত্র সাবমিট দিবেন অনলাইনে আবেদনপত্র সাবমিট দিবেন।

অনলাইনে আবেদনপত্র সাবমিট দেয়ার পর আপনাকে আপনার আবেদনকৃত কপিটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করতে হবে।

উক্ত আবেদনের কপিটি আপনি নিজ দায়িত্বে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে জমা দিয়ে আসবেন তাহলে আশা করা যাচ্ছে আপনি ভিজিডি কার্ডের জন্য একজন প্রার্থী।

ভিজিডি কার্ডের অনলাইন আবেদন বিকল্প পদ্ধতিঃ 

ভিজিডি কার্ডের অনলাইনে আবেদন করার জন্য বিকল্প পদ্ধতি হচ্ছে https://idp-v2.live.mygov.bd/login এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনাকে আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।

উক্তি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর দেখবেন লগইন নামে একটা অপশন আছে উক্ত লগইন নাম্বার অপশন আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার অপশন এ ক্লিক করবেন।

তারপর আপনার মোবাইল নাম্বার একটি সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড যাবে উত্তরটি দিয়ে আপনি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।

রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর আপনার সামনে একটি পেজ ওপেন হবে উক্ত পেজে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্মতারিখ, জন্ম মাস, জন্মসাল সিলেক্ট করতে হবে।

তারপর সার্চ করুন অপশনে ক্লিক করা মাত্রই আপনার ছবি সহ আপনার যাবতীয় তথ্য এসে যাবে। পরবর্তীতে আপনি বিকল্প পদ্ধতিতে ভিজিডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এইখানেও দেখতে পারবেন আপনার সকল তথ্য এসে পড়েছে।

আপনার নাম আপনার জন্ম তারিখ আপনার পিতার নাম মাতার নাম শুধুমাত্র আপনার স্বামীর নাম ফাঁকা থাকবে আপনার স্বামীর নাম টি আপনি বাংলায় লিখে দিবেন।

তারপর সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে অনলাইনে আবেদনপত্র সাবমিট করার পর প্রিন্ট করার অপশন পাবেন।

তারপর অনলাইন থেকে আপনার আবেদন পত্র প্রিন্ট করে নিজ কার্যালয় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জমা দিয়ে আসবেন তাহলে কিন্তু আপনার ভিজিডি কার্ডের অনলাইনে আবেদনপত্র কমপ্লিট এবং উক্ত আবেদনপত্র আপনার সংশ্লিষ্ট কার্যালয় করা হয়ে গেছে।

আশা করি আপনারা বিষয়টি সঠিক ভাবে বুঝতে পরেছেন। আমাদের ওয়েব সাইটে আরো বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল আছে যে ‍গুলো পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।

শেষ কথাঃ

আপনারা যারা আমাদের লেখা আর্টিকেল ভালো করে পড়েছেন তারা অবশ্যই বুঝে গেছেন কিভাবে আপনারা ভিজিডি কার্ডের অনলাইনে আবেদন করবেন।

আমাদের ওয়েবসাইট www.jobsandedu.com এর আর্টিকেল লেখাগুলো যদি পড়ে আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন।

প্রতিদিন নিত্যনতুন নিয়মিত চাকরির নিয়োগ সহ বিভিন্ন ধরনের আবেদন পত্র প্রক্রিয়া এবং শিক্ষামূলক যাবতীয় আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment