আসসালামু আলাইকুম সু-প্রিয় ভাই ও বোনেরা আমরা www.jobsandedu.com এর পক্ষ থেকে আপনাকে শিখাবো কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
অথবা আপিনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন ও ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার জন্য নতুন করে একটি নতুন করে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন।
তাছাড়া আপনারা যারা অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান কিন্তু ভাবছেন কিভাবে করবো স্বপ্নের মতো লাগছে আমি কি পারবো না পারবোনা এই বিষয়ে ভাবছেন। তাদের জন্য আজকের এই আমাদের আর্টিকেল লেখা।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়ঃ
আজাকের আর্টিকেল গুলো আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ নতুন কিংবা পুরনো সবাই জানতে পারবেন ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার কিছু গুরুত্ব পূর্ণ পন্থায় সত্যিকারার্থে ০৮ টি পন্থা অবলম্বন করে আপনি ইউটিউব থেকে অনেক ভাল অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন।
পুরোপুরি জানতে হলে অবশ্যই আমাদের ওয়েব সাইট এর পুরো আর্টিকেল লেখাগুলো ভালো করে পড়বেন তাহলেই আপনি সবকিছু পানির মতো বুঝে যাবেন।
নাম্বার ওয়ান টিপস
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার পন্থা গুলোর মধ্যে সর্ব প্রথম নাম্বার ওয়ান যে পন্থা সেটা হচ্ছে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনারা সবাই জানেন যে গুগল এডসেন্স থেকে এডভারটাইজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা।
আপনাদের যাদের ইউটিউব চ্যানেল আছে এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকবে তখন আপনার চ্যানেলকে আপনি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের জন্য মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আর আপনি যখন মনিটাইজেশন এপ্রোভাল পেয়ে যাবেন তখন গুগোল অ্যাডসেন্সে একাউন্ট ক্রিয়েট করে আপনার গুগল এডসেন্স এর সাথে ইউটিউব চ্যানেলটাকে সংযুক্ত করে দিয়ে এডভার্টাইজিং সিস্টেমের মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
যেটা কে আপনি এড রেভিনিউ হিসেবে হয়তবা জানেন অথবা ইউটিউবে যখন আপনি দেখেন যখন কোন ভিডিও দেখেন তখন সেই ভিডিওর উপরে বিভিন্ন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট চলে আসে এগুলো থেকে সাধারণত গুগল এডসেন্স ইউটিউব এর মাধ্যমে টাকা দিয়ে থাকে।
এই একটা মাধ্যমেই মাধ্যমে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করতে পারবেন ও গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে টাকা আয় করতে পারেন।
এছাড়া ইউটিউব থেখে কিভাবে আয় করবেন সে সম্পর্কে আমাদের ওয়েব সাইটে অনেক কনন্টে পেয়ে যাবেন।
টিপস নাম্বার দুই
আমি আজকে আপনাদেরকে শুধু পন্থাগুলো বলবঃ স্পনসর্শিপ স্পন্সর শিপের মাধ্যমে আপনি কিন্তু আপনার চ্যানেল থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
তবে স্পন্সরশীপ থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনার চ্যানেল কিন্তু অবশ্যই অবশ্যই একটা ভালো স্ট্যান্ডিং পজিশনে থাকতে হবে, না হলে আপনি সহজেই স্পনসর্শিপ পাবেন না।
স্পনসর্শিপ কিভাবে পাবেন যেমন ধরুন আপনার চ্যানেলের যদি অনেক অনেক ভালো কোন কনন্টেন থাকে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার থাকে মিনিমাম 50 হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকায় স্পন্সরশীপের অফারগুলো আসা শুরু করবে।
আপনার ইউটিউব চ্যানেল আছে সেখানে যদি আপনার ইমেইল দিয়ে রাখেন ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে আমার জন্য এই ইমেইল টা প্রবেশ করার কারণে আপনাকে তারা ইমেইল করবে।
এই মাধ্যমে আপনি স্পনসর্শিপ পেয়ে থাকবেন স্পন্সরশীপের অনেকগুলো ধারা হয়ে থাকে যেমন আপনি প্রোডাক্ট স্পনসর্শিপ পেতে পারেন।
আপনি কোন কোম্পানির স্পনসর্শিপ পেতে পারেন অথবা আপনার কনটেন্ট রিলেটেড কোন কনটেন্ট মানুষ আপনাকে দিয়ে বানিয়ে আবার চ্যানেলে আপলোড করাবে এবং এতে করে তাদের কোম্পানির একটা সার্ভিস হবে। এই সিস্টেমে আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।

আরোও পরুনঃ
- ফেসবুকে থেকে ঘরে বসে প্রতি মাসে 30/40 হাজার টাকা আয় করুন।
- মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড 2007 ফুল ভার্সন (বিস্তারিত দেখুন)
- Toshiba e-Studio 2523A Printer and Scanner Driver Software Free (বিস্তারিত দেখুন)
- adobe photoshop 7.0 for pc full version. (বিস্তারিত দেখুন)
টিপস নাম্বার তিন
এই রিলেটেড স্পনসর্শিপ পেয়ে থাকতে পারেন এফিলিয়েট মার্কেটিং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে হয়তো বা আপনি অনেক শুনেছেন এছাড়াও আমি কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে অ্যামাজন থেকে আপনারা কিভাবে টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা অ্যামাজন থেকে আয় করবেন ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয় এরকম অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট রয়েছে।
যেখানে আপনি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এফিলিয়েট লিংক ক্রিয়েট করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে সেই লিংকটা প্রোভাইড করে সেখান থেকে ক্লিক করে যদি কোন ব্যক্তি প্রোডাক্ট কিনে তাহলে কিন্তু সেই কেনা থেকে আপনি একটা কমিশন পেয়ে যাবেন।
যে কমিশন এর একটি অংশ আপনার একাউন্টে জমা হবে এবং আপনি চাইলে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং বাংলাদেশে ই-কমার্স সাইটগুলো আছে তারা বিকাশ করেন বিকাশ থেকেও আপনি আপনার ট্রানজেকশন করতে পারবেন।
টিপস নাম্বার চার
ব্র্যান্ডিং প্রোমোশন প্রোমোশন আপনি অনেক বড় বড় চ্যানেল রয়েছে তাদের ভিডিওতে আপনি অনেক সময় দেখবেন রবি লোগো থাকে তারপর গ্রামীণফোনের লোগো থাকে অথবা ব্র্যাক ব্যাংকের লোগো ও নগদ লগো থাকে।
এরকম অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান লোগো থাকে ঠিক আছে সাধারণত আপনার নাটক দেখে থাকেন নাটক দেখলেন নাটর দেখার সময় অনেক সময় দেখবেন যে গ্রামীণফোনের লোগো দেওয়া থাকে অথবা রবি কোম্পানির লোগো দেওয়া থাকে তখন অনেক বেশি পপুলার হয়ে যাবে।
তখন কিন্তু আপনার চ্যানেলকে এরকম বড় বড় কোম্পানিগুলো ব্র্যান্ডিং প্রমোশনের জন্য স্পন্সর করবে বা ব্র্যান্ডিং প্রমোশনের অফার করবে এটা আপনার কন্ট্যাক হতে পারে ইয়ারলি কন্টাক হতে পারে।
যে কোম্পানি আপনাকে এই ব্র্যান্ডিং প্রমোশন করার জন্য কন্টাক্ট করতে চাইবে আপনার চ্যানেলকে সেই কোম্পানি এবং আপনার মতামতের উপর নির্ভর করে সে সময়টা নির্ধারণ করা হবে সেটা হচ্ছে প্রোডাক্ট।
আপনার যদি ইউটিউব চ্যানেলে কোন ভাল কনটেন্ট নাও থাকে তারপরও কিন্তু আপনি চাইলে আপনার যদি কোন প্রোডাক্ট থাকে অথবা আপনি যদি চান যে একটা বিজনেস করবেন তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি যেকোনো প্রডাক্টের সেল করার জন্য সেই প্রডাক্ট সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
টিপস নাম্বার পাঁচ
যেমন আপনার কাছে যদি থ্রি পিস থাকে আপনি যদি মেকআপ জিনিসপত্র বেচাকেনা করেন অথবা আপনি যদি ছেলেদের জুতো তারপরে অনেক কিছু থাকে না যেগুলো অনলাইনে বেচাকেনা হয় তাহেলেও কিন্তু আপনি একটা ইনকাম করতে পারেন।
আপনার কাছে যদি এরকম কোন প্রোডাক্ট থাকে যে প্রোডাক্টটা কে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ভাবে শুরু করে এটা বিক্রি করতে পারেন তাহলে কিন্তু সেই প্রোডাক্টটা কেউ আপনি বিক্র করার জন্য ভিডিও তৈরি করে।
সেই প্রডাক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনার ভিডিও ডেসক্রিপশন এ দিয়ে দেন আপনার ভিডিওতে সেই ভিডিওতে আপনি আপনার নাম্বার সিলেক্ট করে নিতে পারেন।
আপনার নাম্বারটা প্রবাহিত করে দিতে পারেন সেখান থেকে মানুষ আপনাকে কল করে অর্ডার করবে এভাবে কিন্তু আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
টিপস নাম্বার ছয়
এই বার আমি আপনাকে শিখাবো ছয় নাম্বারে যে জিনিসটা চলে আসে সেটা হচ্ছে বিজনেস মার্কেটিং বিজনেস থাকে যেমন ধরুন আপনার যদি একটা কোম্পানি থাকে অথবা ছোট একটা ইনস্টিটিউট থাকে বা প্রতিষ্ঠান থাকে যেখানে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করেন।
আপনি ধরে নিয়ে একটা লোগো ডিজাইন করছেন সেই লোগো ডিজাইন টা কি আপনি টিউটোরিয়াল হিসেবে তৈরী করলেন অথবা ডিজাইন করার সময় সেটাকে ডিজাইন করে দেখালেন এবং মানুষের সামনে মার্কেটিং করলেন।
ভিডিও করে দেখালেন যে এটা কিভাবে ডিজাইন করেছে এবং আফসারী ডিজাইন করতে পারেন আমার কাছ থেকে এটা ডিজাইন করলে এত টাকা লাগবে এরকম ডিজাইন করে এত টাকা লাগবে আপনার মত ডিজাইন করাতে আমাদের কল করতে পারেন এরকম নিজের বিজনেস মার্কেটিং গুলো রয়েছে।
এগুলো কিন্তু আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে করতে পারবেন।
টিপস নাম্বার সাত
সাত নাম্বার যে জিনিস টা চলে আসে সেটা হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং করে আয় করতে পারবেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন।
আমাদের পৃথিবীতে মানুষ কোনো না কোনো বিষয়ে জানতে চাই কোন না কোন ক্যাটাগরির মধ্যে কিন্তু পরে যাবে আপনি চাইলে কিন্তু আপনার সেই জিনিসটা বা যেটা নিয়ে আপনি ভিডিও তৈরি করেছেন সেটা নিয়ে আপনি একটা কনটেন্ট লিখতে পারবেন।
টিপস নাম্বার আট
যেমন গুগলের ব্লক রয়েছে আপনি ব্লগে ব্লগস্পটের যে ফ্রি ইউ আর এল বা ওয়েবসাইট রয়েছে অথবা ওয়েবসাইট ডোমেইন রয়েছে যেগুলো কিনে নিতে পারেন।
অথবা আপনি চাইলে টপ লেভেল ডোমেইন কিনে কিন্তু আপনার যে ইউটিউব এর ভিডিও গুলো রয়েছে এই ভিডিওগুলো ব্যাপারে আপনি বিস্তারিত একটা কন্টেন লিখে আপনি ব্লগ হিসেবে এটাকে পোস্ট করতে পারেন।
আপনি চাইলে যখন আপনার এই ব্লগ থেকে অনেক ভালো মানুষের কাছে পৌছাবে তখন আপনি আপনার এই ওয়েবসাইটকে মনিটাইজেশন করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
সুতরাং আপনার একটা ভিডিওর মাধ্যমে কিন্তু আপনি একটা কনটেন্ট রেডি করে একটা ওয়েব সাইটের কনটেন্ট হিসেবেও কিন্তু আপলোড দিতে পারবেন।সেই ওয়েবসাইট টা মনিটাইজেশন করে সেখান থেকেও টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি যেই রিলেটেড ভিডিও বানান না কেন আপনি চাইলে কিন্তু আপনার সেই ভিডিওগুলো কে ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারেন।
টিপস নাম্বার নয়
ফেসবুকের মাধ্যমে কিভাবে টাকা আয় করবেন যেমন ধরুন আপনি যখন ইউটিউবের পাশাপাশি যখন ফেসবুকে আপনি ব্রাউজ করেন বা ফেসবুকে সময় কাটানো অনেক সময় অনেক পেইজ আপনাদের সামনে চলে আসে এই পেজের ভিডিওতে কিন্তু আপনি অনেক সময় এডভারটাইজিং দেখে থাকেন।
আপনি যদি এরকম একটা পেজ বানাতে পারেন এবং আপনার চ্যানেলের ভিডিও গুলো যদি আপনার পেইজে আপনি পাবলিস্ট করেন তাহলে এক পর্যায়ে গিয়ে সেই পেইজে যখন মনিটাইজেশন সিসটেম ফুলফিল করবে তখন কিন্তু আপনি আপনার ফেসবুক পেইজটি মেনশন করে নিতে পারবেন।
সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারবেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আটটি পন্থা অবলম্বন করে কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
আমাদের ওয়েব সাইট www.jobsandedu.com এর আর্টিকেল লেখাগুলো পড়ে আপনি অবশ্যয় বুঝে গেছেন কিভাবে আটটি উপায়ে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি চেষ্টা করতে থাকেন তাহলে আপনার মধ্যে লুকিয়ে থাকা সেই প্রতিভাটা অবশ্যই উন্মোচিত হবে। আমি বিশ্বাস করি কার মধ্যে কোনো প্রতিভা লুকিয়ে আছে আমরা কেউ জানিনা।
তবে এটা বিশ্বাস করি না আমি পারব না অবশ্যই আপনাকে পারতে হবে আমাকে পারতে হবে চেষ্টা করে যান অবশ্যই সফলতা পেয়ে যাবেন
তাই প্রতিদিন নিয়মিত এইরকম ইনকাম করার টিপস পাওয়ার জন্য আমারদের ওয়েব সাইট www.jobsandedu.com নিয়মিত ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ।